মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের আশারতলীর জামছড়ির বিপরীতে মিয়ানমার অংশে পার হওয়ার পর এক গরু ব্যবসায়ী নিখোজঁ হয়েছে। তার নাম ছৈয়দ আলম (৩৪) । সে জামছড়ি গ্রামের মৃত মোহ ছেন আলীর পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকাল ৪ টায় সীমান্তের ৪৫ নম্বর সীমান্ত পিলারের নিকটে।

জানা যায়, ঘটনার দিন বিকাল ৩টা দিকে মিয়ানমারের চোরাইকারবারীদের কাছ থেকে গরু ক্রয়ের জন্যে সীমান্তের এ পয়েন্টে যায় ৪/৫ জনের একদল গরু ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে ছৈয়দ আলম ছাড়াও গ্রামের ধলা মিয়াও ছিল। তারা প্রতিদিনের মতো সেদিনও এ কাজে যায়। ঠিক ৪ টার দিকে সীমান্তের ৪৫ নম্বর পিলার পার হয়ে মিয়ানমার অংশে পা দিতে না দিতেই মিয়ানমারের বিজিপি ( বর্ডার গার্ড অব পুলিশ) গুলি ছুড়েঁ তাকে ধাওয়া করে তাদেরকে। এ ঘটনার পর দলের সবাই বাংলাদেশে ফিরে এলেও ছৈয়দ আলম ফিরে আসেনি, নিখোঁজ। স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশে ফেরত আসার কয়েক ঘন্টা পর থেকে ধলা মিয়া সহ দলের অপর ৪ সদস্যও আত্মগোপন করে রেয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ভয়ে। কেন তারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে সীমান্তে যাওয়া-আসা করছে এ কারণে। তবে ছৈয়দ আলমের পরিবার খুবই চিন্তিত সে বিজিপির গুলিতে মারা গেছে কি-না।

এ দিকে ছৈয়দ আলমের নিখোঁজের ঘটনায় ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম বলেন,গরু ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম সীমান্তরক্ষীদের নির্দেশ না মেনে চুরি করে মিয়ানমারে পার হয়েছিল গত শনিবার বিকেলে। গহীন জঙ্গলের এ পথ দিয়ে সীমান্ত পার হওয়া খুবই রিক্স। তবু তারা এ কাজ করে আসছিল। তার পরেও তিনি মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এ বিষয়ে। কিন্ত তারা ছৈয়দ আলমের বিষয়ে কোন কথাই স্বীকার করছে না। তিনি আরো জানান, আবারো সীমান্তে গরু ব্যাপারীরা বেপরওয়া হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের জন্যে দু’দেশের সর্ম্পক নষ্ট করা যাবে না।